ঢাকা: আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ইলিশ রফতানি করতে পারবে। রফতানির এ অনুমোদন আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত: দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন করা হয়। সে তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রফতানি মূল্য হতে হবে সাড়ে ১২ ডলার। শুল্ক কর্তৃপক্ষ রফতানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রফতানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রফতানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।