ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, দূরদর্শী এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। যেখানে উভয় দেশের জনগণই এই অংশীদারিত্বের প্রধান অংশীদার।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ২০২৫ সালের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ অব বাংলাদেশের এনডিসি কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে ভাষণকালে প্রণয় ভার্মা একথা বলেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের উচিত তাদের আন্তঃনির্ভরশীলতা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করা। যা ভৌগোলিক নৈকট্য, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষাকে পারস্পরিকভাবে পুরস্কৃত সহযোগিতার নতুন সুযোগে রূপান্তরিত করবে।’
প্রণয় ভার্মা ভারতের পররাষ্ট্র নীতি এবং উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার সংস্কার এবং গ্লোবাল সাউথের স্বার্থকে উৎসাহিত করার জন্য বিশ্বের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার দেশটির পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকার প্রতিবেশী প্রথম, পূর্বে কাজ করুন নীতি, মহাসাগর মতবাদ এবং ভারতের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেকের কাঠামোর অধীনে আঞ্চলিক অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। যার কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। দুই দেশ এই অঞ্চলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি।’ যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারে বলেও মনে কবেরন প্রণয় ভার্মা।