জাতিসংঘের নিউ ইয়র্ক সম্মেলনে আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লুক্সেমবার্গ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়েছে। ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশ দেখাচ্ছে যে, দুই রাষ্ট্র সমাধান এখনও প্রাসঙ্গিক। তাই লুক্সেমবার্গ সরকারও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিতে যোগ দিচ্ছে।’
গত জুলাইয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ফ্রান্সও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে। এরপর থেকে আরও একটি ডজনের বেশি পশ্চিমা দেশ একই ঘোষণা করেছে।
ইসরাইলের মন্ত্রীরা এই ঘোষণাগুলোকে ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা’ হিসেবে সমালোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ইতিমধ্যেই ১৯৮৮ সালে নির্বাসিত ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের ঘোষণা করা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সম্প্রতি, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে দুটি রাষ্ট্র সমাধানের জন্য ‘স্পষ্ট, সময়নিষ্ঠ ও অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ’ গ্রহণের ঘোষণাপত্রকে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেখানে হামাসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ইসরাইল এবং তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই রাষ্ট্র স্বীকৃতি উদ্যোগকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে।
মার্কো রুবিও সোমবার বলেন, এটি হামাসকে ‘সাহসী’ করেছে, যারা এখনও ৪৮ জন বন্দী ধরে রেখেছে, এদের মধ্যে ২০–২২ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছেন, ‘কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না,’ এবং পশ্চিম তীরের বিতর্কিত ই-১ বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য চুক্তি সই করেছেন।