Wednesday 17 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাল সনদে চাকরি, বেরোবির ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৫ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪

ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর ইরিনা নাহার। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা দফতরের ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর ইরিনা নাহারের স্নাতকোত্তর সনদ জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. হারুন-উর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জালিয়াতির প্রকাশের পর ইরিনাকে মূল সনদ জমা দেওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হওয়ায় ১১৫তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে, কীভাবে তিনি জাল সনদে চাকরি এবং প্রমোশন পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইরিনা নাহার বলেন, ‘আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি, সেটাই দিয়েছি। আমি কি জানতাম এটা জাল কিনা?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আনা তার স্নাতকোত্তর সনদটি জাল।

জানা যায়, চাকরির বিজ্ঞপ্তির মতে, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদানের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাস, সঙ্গে শারীরিক শিক্ষায় বিপিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। কিন্তু ইরিনা ২০১২ সালের ১ মার্চ অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. শাহজাহান আলী মণ্ডলের সই করা নিয়োগপত্রে ৬ মাসের অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগ দেন। স্নাতকোত্তর ছাড়াই তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল জলিল মিয়া অ্যাডহক ভিত্তিতে আবার ৬ মাসের নিয়োগ বাড়ান। ২০২২ সালে ব্যক্তিগত ফাইলে স্নাতকোত্তর সনদ জমা দিলেও, তা জাল প্রমাণিত হয়। তবু কোনো শাস্তি হয়নি। অবশেষে, ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তাকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।

সারাবাংলা/এইচআই

জাল সনদ বরখাস্ত বেরোবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর