ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুধু শেখ হাসিনা নয়, তার পরিবারসহ যাদেরই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) ব্লক আছে তাদের কেউই ভোট দিতে পারবেন না।
আখতার আহমেদ বলেন, “(প্রবাসী ভোটিংয়ের জন্য) মূল বিষয় হল নিবন্ধন। এআইডি লক থাকলে নিবন্ধনের জন্য এক্সেস পাবে না। সেক্ষেত্রে লক করা এনআইডি যাদের, তাদের নিবন্ধনের সুযোগ নেই; তাহলে প্রবাসে থেকে ভোট দেবেন কী করে!
তিনি জানান, মামলার কারণে বা অন্য কোনো কারণে পালিয়ে বা অন্যভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের ভোট দিতে কোনো অসুবিধা নেই।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারে ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি স্থগিত রয়েছে। তারা হলেন- ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন রেহানা সিদ্দিক, ভাগ্নি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন এ তালিকায়, তিনি রেহানার দেবর।
তারিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং তাদের মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের এনআইডিও স্থগিত করা হয়েছে। এনআইডি লক হলে কার্ডটি আর ব্যবহার করা যায় না বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগের নামে ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত।
গত ফেব্রুয়ারিতেই ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারে ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
উল্লেখ্য, এবার প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্ডেট পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।ইতোমধ্যে পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটিংয়ের জন্য ‘পোস্টাল ব্যালট বিডি’ নামে একটি নিবন্ধন অ্যাপ চালুর প্রক্রিয়া চলছে। নিবন্ধন করার পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে প্রতীকসহ ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বিশেষ খামে। ভোট দেওয়ার পর তা দেশে ফেরত এনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা হবে।
প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটিংয়ের বিষয়টি গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে যুক্ত করা হচ্ছে, সঙ্গে ভোট পদ্ধতিও তুলে ধরবে ইসি। আইন পাসের পর অক্টোবর-নভেম্বরে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারের কর্মসূচি রয়েছে।
ইসির ঘোীষত রোডম্যাপে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ হলে এসব ব্যালট পেপার কখন পাঠানো হবে তা নির্ধারণ করবে ইসি, ভোটের এক সপ্তাহ আগে পৌঁছানো হবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। এরপর ফেব্রুয়ারির ভোটে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোট দেবে পোস্টাল ব্যালটে।