অনেক নাটকের পর এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। ভারত-পাকিস্তানের সেই ম্যাচ জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। ম্যাচের আগে-পরে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারত। সুপার ফোরে আবার মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এই ম্যাচ নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। ‘হ্যান্ডশেক বিতর্কে’ কি শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করবে পাকিস্তান?
কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে গত এপ্রিল থেকেই। অনেক নাটকীয়তার পর এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেই ম্যাচে সম্পর্কের বরফ তো গলেইনি, উল্টো নতুন করে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। টস ও ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারত, হ্যান্ডশেক করেনি টিম ম্যানেজমেন্টও।
এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ ছিল পাকিস্তান। ম্যাচ পরবর্তী আয়োজন বয়কট করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আঘা, আসেনি পরের কোন সংবাদ সম্মেলনেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভারতের এমন আচরণ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট ইস্যুতে গতকাল রাতেও অনেক নাটক দেখেছে এশিয়া কাপ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে খেলবে কিনা পাকিস্তান, সে নিয়েও ছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত পাইক্রফট পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, এমন দাবি করেই এক ঘণ্টা পর গড়িয়েছে ম্যাচ।
আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। সেখানে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান।
তবে আগের ম্যাচে যা হয়েছে, সেটার পর পাকিস্তান আদৌ ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে কিনা, সেটা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচের সেই অপমানের পর ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে ইচ্ছুক নয় পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। পিসিবিও ওইদিনের ঘটনার পর ভারতের বিপক্ষে দলকে নামাতে চাইছে না।
তবে এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে ম্যাচ বয়কট করলে বড় শাস্তি পেতে পারে পাকিস্তান। এই কারণেই হয়তো শেষ পর্যন্ত ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও ভারতের বিপক্ষে লড়তে হতে পারে পাকিস্তানকে।
২১ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।