ঢাকা: সম্প্রতি ভারতের গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক যুব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সংহতি জোরদার করেছে বলে মনে করছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের বিমসটেক যুব সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক মনোনীত ১০ সদস্যের একটি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়া এ দলে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি, বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলটিতে শিক্ষা-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আইনজীবী, জাদুঘরের কিউরেটর এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকারীরা যুক্ত ছিলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব প্রতিনিধিদের এ সক্রিয় অংশগ্রহণ বিমসটেক-এর অংশীদারি সমৃদ্ধি এবং সংযোগ লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশী প্রতিনিধিরা উন্নত দক্ষতা, উদ্ভাবনী ধারণা এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে ফিরে এসেছেন, যা আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে। একইসাথে সাংস্কৃতিক এবং দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ক অধিবেশন বিমসটেক সদস্য দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সংহতি আরও জোরদার করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ০৯-১১ সেপ্টেম্বর আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ২১-দফা কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুব নেতাদের সম্মেলনটি ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়। আসামের রাজ্যপাল এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সম্মেলন বিমসটেক-এর সব সদস্য রাষ্ট্র থেকে ৮০ জনেরও বেশি গতিশীল তরুণ নেতাকে একত্রিত করে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে একবিংশ শতাব্দীর তরুণ নেতাদের স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা, নকশা উদ্ভাবন ও সামাজিকভাবে প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সম্মেলনে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের তরুণ নেতাদের অন্তর্ভুক্তি এবং গভীর আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং আর্থ-সামাজিক একীকরণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতের কৌশলগত গুরুত্বের উপরও আলোকপাত করা হয়।