নেত্রকোনা: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় দাফনের আড়াই মাস পর রানা নামের এক শিশুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে- বাদী পিতার এমন অভিযোগের পর আদালতের নির্দেশে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার পূর্বধলার গোয়ালাকান্দা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্ৰামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন পুর্বধলার কান্দুলিয়া গ্রামে ফিশারিতে পড়ে শিশু রানা নিহতের ঘটনা ঘটে। কেউ কোনো অভিযোগ না করায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। পরবর্তীতে শিশুর বাবা সন্দেহ পোষণ করে প্রতিবেশী শহিদ মিয়াকে আসামি করে ২৩ জুলাই নেত্রকোনা আদালতে খুনের মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী, প্রতিবেশী শহিদ মিয়া (৪৮) শিশু রানাকে দোকান থেকে সিগারেট আনতে বলে। শুনতে না পেয়ে রানা সিগারেট না এনে গরুর খাদ্য ভুসি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শহিদ মিয়া রাগান্বিত হয়ে রানাকে মারধর করে। পরে শহিদ মিয়া তাকে ফিশারিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা। সাথে সাথে তাকে দাফন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা রুজির নেতৃত্বে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, আদালতের আদেশে শিশু মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এটি ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।