ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁস ও গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই জোরালো দাবি উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা পুনঃপরীক্ষারও দাবি জনান।
তারা বলেন, ‘এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর। তবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করে ১২ সেপ্টেম্বর করা হয়।’
তারা আরও বলেন, ‘এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর (বিএসএস সূত্রে জানা যায় যে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ৯০ শতাংশ কমন সাজেশন’ দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে সিআইডি গ্রেফতার করে। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত ও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তারা আরও জানান, তবুও ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬মিনিটে প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তারা দুইটি অভিযোগ তুলে ধরেন-
১. পরীক্ষার পূর্বে ও চলাকালীন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে এসেছে, যা গণমাধ্যম ও সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় পরীক্ষার আগে ও পরে দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
২. এই পরীক্ষা কেবল বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য হলেও আবেদন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার সুযোগে বহিরাগত প্রার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এতে বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য প্রতিযোগিতা ব্যাহত হয়েছে।