ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে ভুয়া পাসপোর্ট-পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে।
অথচ ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০১ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং ২০১১ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান। এমনকি ২০১১ সালে ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ক্ষমাতচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টিতে দ্বিমত পোষণ করে তা সরাসরি জালিয়াতি বলে অভিহিত করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। এখন তারা জাল নথি তৈরি করে তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। টিউলিপ সিদ্দিক কখনোই বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি পাননি এবং শৈশবকাল থেকেই কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট রাখেননি।’

টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেজ অনুযায়ী, তার ভোটার নিবন্ধন নম্বর রয়েছে, যা দিয়ে বাংলাদেশের ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বাংলাদেশের একটি দুর্নীতি মামলায় অনুপস্থিত অবস্থায় অভিযুক্ত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করে তার পরিবারের সদস্যদের জন্য জমি বরাদ্দ নিশ্চিত করেছিলেন এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন।