ঢাকা: ঢাকার বায়ুমান আজ আবারও অবনতির দিকে গেছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তালিকা অনুযায়ী, রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর দাঁড়িয়েছে ১৬৭ তে, যা ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের নির্দেশক।
বৃষ্টিপাতের সময় দূষণ কিছুটা কমলেও বর্তমানে তা আবার বেড়ে যাচ্ছে। তালিকায় আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি, যেখানে একিউআই ২৪২—যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে। এরপরই আছে ইরাকের বাগদাদ (২০৫), ভারতের কলকাতা (১৬৬) এবং কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা (১৬৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার দূষণের প্রধান উৎস হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা। দীর্ঘ সময় এ ধরনের দূষিত বাতাসে থাকার ফলে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ এবং এমনকি ক্যানসারের মতো জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একিউআই সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বাতাস বিশুদ্ধ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে তা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আর ২০১–৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে পড়ে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়, শুধু জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণই প্রতি বছর বিশ্বে ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসেবে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে প্রতি বছর ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জনগণকে বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। সংবেদনশীল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইটভাটা ও শিল্পকারখানার মালিকদের বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী ব্যবহার, সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে রাখা, দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং ধোঁয়া নির্গতকারী পুরোনো যানবাহন রাস্তায় না নামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।