রাবি: পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মধ্যরাতেও উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্যাম্পাস। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত হাজারো শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে দিনভর অনশন ও অবরুদ্ধের ঘটনার পর রাতে শিক্ষক-কর্মকর্তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রশাসনকে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এসময় দাবি আদায়ে বিভিন্ন হলের নারী শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা, উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশান টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’; ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’; ‘পোষ্য কোটার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’; ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সংহতি প্রকাশ করেছেন।
এর আগে দিনভর চলা অনশন কর্মসূচিতে ৭-৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। একই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং জুবেরী ভবনের কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ পরিস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তার বাসভবনে শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
তবে, শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে কোটা বাতিলের কোনো ঘোষণা আসেনি।
শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে আন্দোলনের বিষয়ে রাবি ভিসি অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি আগে আমার প্রোভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরকে ফেরত চাই, তারপরেই আলোচনায় বসব। এখন পর্যন্ত আমরা খুবই ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি, কিন্তু এভাবে জিম্মি করে সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করল এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রাকসু হবে কিনা, তা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই সিরিয়াস।’