ঢাকা: আজ শুভ মহালয়া। এই দিনের মাধ্যমে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে চলছে চণ্ডীপাঠ, তর্পণ এবং দেবী দুর্গার বন্দনা। শরতের শুভ্র এই সকালে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের।
পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। চণ্ডীপাঠে রয়েছে দেবীর সৃষ্টি ও অসুর বধের বিশদ বিবরণ। মহালয়া শুধু পূজার একটি আনুষ্ঠানিক সূচনাই নয়, এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি আধ্যাত্মিক উপলক্ষও। এই দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। ষষ্ঠীপূজা অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আর ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পূজার শেষ হবে।
বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারে না। ফলত অসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়।