ঢাকা: বাংলাদেশের ৬৪তম মিশন হিসেবে মরক্কো’র রাজধানী রাবাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মরক্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করেন পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার। অনুষ্ঠনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, মোহাম্মদ আবু নঈম এবং ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপ-পরিচালক লে. কর্নেল হাম্মদ ফয়সল। মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। এছাড়া সার্বিক পাসপোর্ট সেবার মান উন্নয়নে এবং সবার মধ্যে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করার লক্ষ্যে বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা প্রবাসীদের কাছে ই-পাসপোর্ট সেবা পৌঁছে দেওয়ায় পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদফতর-কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আধুনিক, নিরাপদ ও কার্যকর সেবা প্রদানের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। মরক্কোর পাশাপাশি ঘানা, গিনি, সেনেগাল ও সিয়েরা লিয়নের জন্যও বাংলাদেশ দূতাবাস সীমিত জনবল থাকা সত্ত্বেও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দূতাবাস শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নেই নয়, বরং প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং কনস্যুলার কার্যক্রম কার্যকরভাবে সম্পাদন করার ক্ষেত্রেও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মরক্কোর বিভিন্ন শহরের ভৌগোলিক দূরত্ব, নথিবিহীন প্রবাসীদের জটিলতা এবং বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দূতাবাস কনস্যুলার সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।