চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায়ের ঘোষণা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়ি মাদরাসাপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৪)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে এ মামলার আসামি খাইরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ রোড থেকে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন দিনগত রাত ১টার দিকে ওই মেয়েকে শহরের সুমুরদিয়া এলাকার একটি হলুদ ও আমবাগানে নিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখলে তারা মাদরাসার পেছনে বিলের মধ্যে মেয়েটিকে দেখতে পায় এবং তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু মামলাটি তদন্ত করে খাইরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক তৌহিদুল ইসলামের কাছে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আসামি খাইরুল ইসলাম।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উপরোক্ত রায় ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, ধর্ষণ মামলাটি আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি খাইরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।