ঢাকা: উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের (ডিআইএস) গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরার রূপায়ণ সিটিতে এই সেরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি এবং একই সাথে নতুন জীবনের সূচনাকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুপায়ন গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল, ব্রিটিশ কাউন্সিল ঢাকা এর কান্ট্রি এক্সাম ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রাইম্যান, অক্সফোর্ড এ-কিউ-এ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শাহীন রেজা, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট কান্ট্রি লিড (বাংলাদেশ) সারওয়াত মাসুদা রেজা, রূপায়ণ সিটির সিইও মাহবুবুর রহমান, ড্যাফোডিল গ্রুপের সিও ও ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমুনিকেশন ডেপুটি ডিরেক্টর, সামিহা খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ-শাহানা খান, অধ্যক্ষ-নাজাহ সালাওয়াত। এছাড়াও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিক বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের চিন্তাধারা উপস্থাপন এবং এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ প্রদান।
গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি উপলক্ষ্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রায় শিক্ষার্থীরা হলো আলোকবর্তিকা।’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময় পার করছি। এই সময়ে সভ্যতার বিকাশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মকে ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, ছয় বছর পর পরিস্থিতি এমন থাকবে না। রোবট, ড্রোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি পুরো চাকরির ক্ষেত্রকেই পাল্টে দেবে। প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতিই মানুষের মতো কাজ করবে।’ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান রূপায়ন গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল। জ্ঞানের দীপ্তি, চরিত্রের দৃঢ়তা এবং অধ্যাবসায়ের মহিমা দিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে নানা অনুপ্রেরনামূলক বক্তব্য দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিআইএস উত্তরা ক্যাম্পাসের প্রিন্সিপাল নাজাহ্ সালাওয়াত বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন শুধুমাত্র শিক্ষাজীবনের একটি ধাপ নয়; এটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি এবং বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এ মুহূর্ত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের জন্য গৌরবময়, যা দীর্ঘ পরিশ্রম, দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যতের আলোকিত সম্ভাবনার প্রতীক।’
গ্রাজুয়েশন সেরিমনি যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। শিক্ষাগত উৎকর্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে দীর্ঘদিনের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিবছরের মতো এ বছরও গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানকে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ও বহুল প্রতীক্ষিত আয়োজনে পরিণত করেছে। শিক্ষার্থীরা নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার পথে যাত্রা শুরু করবে এ বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারা আনন্দদায়ক ব্যাপার।