ঢাকা: দেশের সরকারি-বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) নামের চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। সংগঠনটির দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর আবু সাঈদ অডিটোরিয়ামে ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু ইউসুফ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত চিকিৎসক ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েবা আক্তার, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশে ফিজিক্যাল মেডিসিনের জনক অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন ডা. এবিএম আবু হানিফ, অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর, সোসাইটির এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. তছলিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. একে আজাদ, কনফারেন্স সেক্রেটারী অধ্যাপক এম এম জামান।
কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। ১৯৮৩ সালে আইপিজিএমআর (বর্তমান বিএসএমএমইউ)-এ একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চার শতাধিক বিশেষজ্ঞ রিহ্যাব চিকিৎসক দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে রিহ্যাবিলিটেশন টিম তথা ফিজিওথেরাপিস্ট, রিহ্যাব নার্স, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ ও অটিজম থেরাপিস্ট এবং কাউন্সেলরের সমন্বিত দল জনগণের দ্বারপ্রান্তে এই সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন।
সম্মেলনে একশোরও অধিক দেশী ও বিদেশী গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশে ফিজিক্যাল মেডিসিনের জনক অভিহিত অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম ও বিএমইউ এর সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মঈনুজ্জামানকে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিগত তিন বছরে পাশকৃত ৪৮জন বিশেষজ্ঞকে সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি নবীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে থেকে ডা. ফাতেমা নওয়াজকে ইমার্জিং ফিজিয়াট্রিস্ট অব দি ইয়ার, ডা. শামীম ফরহাদকে ইয়ং ফিজিয়াট্রিস্ট অব দি ইয়ার মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সম্মেলনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়- দ্রুততম সময়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ও জেরিয়াট্রিক ইন্সস্টিটিউট বাস্তবায়ন করা। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ স্থাপন। এসকল মেডিকেল কলেজ, সদর হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ে ফিজিক্যাল মেডিসিন ইউনিট ও নতুন পদ সৃজন।আন্ডারগ্রাজুয়েট মেডিকেল কারিকুলামে বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দেওয়া। অচিকিৎসক দ্বারা প্রেসক্রিপশন বন্ধে বিএমডিসি ও রাস্ট্রীয় অন্যান্য সকল আইনের কার্যকর প্রয়োগ। এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে প্রতিবন্ধিতা নির্ণয়ে জাতীয় মানদন্ড র্নিধারন করা ও আধুনিক রিহ্যাবিলিটেশন সিস্টেম গড়ে তোলা।