ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে জোটের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে এক হয়ে তরুণদের নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠন করা হবে। তিনি জানান, বিদ্যমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তিনটি ব্লক হচ্ছে। সেখানে স্বতন্ত্রভাবে এনসিপির নেতৃত্বে একটি ব্লক আসছে। যা হবে তরুণদের নিয়ে সবচেয়ে বড় জোট।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা যেহেতু বিএনপি না, এজন্য বিএনপির ব্লকেও যাচ্ছি না। আমরা যেহেতু জামায়াত না, এজন্য জামায়াতের ব্লকেও যাচ্ছি না। আমরা স্বতন্ত্র।
নিজেদের অগ্রযাত্রায় এনসিপির ব্যানারে তরুণদের নিয়ে একত্রে কাজ করা হবে এবং গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদ কি এনসিপির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কথাবার্তা চলছে। আমরা সম্মত হয়েছি। কী প্রক্রিয়ায় আসবে, এটা পলিসিগত জায়গা। আদর্শগত বিষয় স্পষ্ট করেছি। কয়েকটা আসন বা দেনাপাওনার বিষয় না। আদর্শিক লড়াই রয়েছে।
এনসিপির যারা প্রার্থী থাকবে কি প্রক্রিয়ায় বাছাই করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আগামীর যে সংসদটা হবে এখানে আওয়ামী লীগ থাকবে না, জাতীয় পার্টি থাকবে না। এবং এটা দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছি। এবার ব্যালট রেভ্যুলেশন হবে। ভোটিং প্রসেস থেকে সব জায়গায়, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি হারিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি জানান, আগামী নির্বাচন হবে সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে। নির্বাচনটা হবে আলেম, নারী ও তরুণদের পক্ষে। এ আদর্শিক জায়গা থেকে সমন্বিতভাবে সম্মিলিত রূপ আমরা চাচ্ছি।
গণঅধিকার পরিষদ যদি এনসিপির সঙ্গে একত্রিত হয় তাহলে কোন প্রতীক থাকছে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এ নেতা বলেন, “দলের নাম এনসিপি থাকবে, এনসিপির প্রতীকেই থাকবে। অন্য দলের নাম মার্কা ডিজলভ হবে এবং এনসিপির আন্ডারে আরও অনেকগুলো দল আসছে। এটা আমরা বড় ধরনের একটা পার্টি করতে যাচ্ছি। ফলে অনেকগুলা দল, অনেকগুলো মত, অনেকগুলা ব্যানার এনসিপির ব্যানারে চলে আসবে ইনশাল্লাহ।”
সংস্কার যদি না হয় তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে কিনা সেটা নিয়ে স্টিল কনফিউশন আছে।
তিনি আরও জানান, যদিও সরকার ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন করার জন্য সবাইকে অনেক ইনসিস্ট করছে। কিন্তু আমাদের যে জুলাই সনদটা রয়েছে এটার লিগ্যাল যে পার্সপেক্টিভ সেই জায়গা থেকে এখনো কোন সলিউশন হয় নাই। আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং দ্রুতগতিতে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যেতে হবে। অনেকেই বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করে থাকে যে জামায়াত ইলেকশন চায় না, এনসিপি ইলেকশন চায় না, এগুলো হলো তাদের একটা প্রোপাগাণ্ডা। যদি বাংলাদেশে অতি দ্রুত গতিতে সুন্দর একটা ইলেকশন কেউ চেয়ে থাকে সেটা সবার আগে এনসিপি চাইবে।