ঢাকা: সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দিতে শত কোটি টাকা প্রতারণা ও ভুয়া ভিসার মাধ্যমে ইতালি পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাদক কারবার চক্রের মূলহোতা জোছনা খাতুনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মোটা বেতনের চাকরি দেখিয়ে ইতালি নেওয়ার কথা বলে জাল ভিসা ধরিয়ে দেওয়া, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর নাম করেও প্রতারণা করা হতো শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই চক্রের মূলহোতাক জোসনা খাতুনকে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিম পুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে।’
জসীম উদ্দিন খান বলেন, ‘গ্রেফতার জোসনা খাতুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে এ চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য মিলন মিয়াকেও (৪২) গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। জোসনা খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণার দায়ও স্বীকার করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রথমে লোভনীয় বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা টাকার চুক্তি হয়। বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া হয় সে চুক্তির অর্থ। এরপর ভিকটিমকে ভুয়া ভিসা ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানি করা হতো। ইতালিতে লোক পাঠানোর কথা বলে মিলন মিয়া প্রতারক চক্রের হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করত। বিদেশ যেতে আগ্রহী লোকদেরকেই মূলত তারা টার্গেট করতো। ফরিদপুর, নড়াইল নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের আরও বেশ কিছু জেলায় এ প্রতারক চক্রটির নেটওয়ার্ক রয়েছে। শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্রটি। প্রকৃত ভিসার বদলে দিয়েছে ভুয়া ভিসা। চক্রটির প্রতারণালব্ধ টাকা বেশকিছু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া গেছে।’
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেফতার জোছনা খাতুনকে আদালতে সোপর্দকরণ ও পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’