মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে জোর দিচ্ছে ডিএনসিসি
৮ জুলাই ২০১৮ ১৭:৫০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: মশা নিয়ন্ত্রণে ফগ মেশিনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে লার্ভা নিয়ন্ত্রণে জোর দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৮ জুলাই) ডিএনসিসি ভবনে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে এক সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচ-ছয়টি করে ফগ মেশিন আছে। এতে মশা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ নয়, এর চেয়ে লার্ভা দশাতেই লার্ভা নিরোধক বিষ (লার্ভিসাইট) প্রয়োগ করলে সেখানেই মশার জীবনচক্র থামিয়ে দেওয়া সম্ভব।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা জানান, গত বছর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোয় এবং মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এ বছর চিকনগুনিয়া রোগের প্রকোপ তুলনামূলক কম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযোগ গ্রহণের কথা থাকলে সমস্যা সমাধানে সে প্রক্রিয়া ঠিকভাবে কাজ করেনি। এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সমন্বয় করা হবে।’
মশা নিধনে কীটনাশক ছিটানো কর্মীদের যাতায়াত ভাতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয় এই সভায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলেয়া সরোয়ার ডেইজি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এর আগে সভায় আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপনের বিষয়ে সাংবাদিকদের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৪ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে প্রথম রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। সেদিন ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত সব শিশুকে বিনামূল্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ বছরে প্রথম রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য প্রায় ২৬ লাখ শিশু ও ১-৫ বছরের শিশুদের জন্য জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ শিশু। এরমধ্যে শুধু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাড়ে পাঁচ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির বলেন, ‘১৪ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় ৪৯টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ ছাড়াও ১৪৫০টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র করে ট্রেন স্টেশন, বাস স্টেশন, লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও অন্যান্য স্থানে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’
তিনি আরও জানান, সেদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সেদিন ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সব শিশুকে ভরা পেটে টিকাদান কেন্দ্রে আনতে হবে। সেদিন যদি কোনো কারণে কোনো শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল না খেতে পারে তবে পরের দুই দিন পর্যন্ত যে কোনো স্থায়ী কেন্দ্রে নিয়ে টিকা খাওয়ানো যাবে।
সারাবাংলা/এমএ/এমও