ফরিদপুর: ফরিদপুরের মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজী, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান ওরফে লিমনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। যুবদল নেতা ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার বাদী মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুরসহ সাতজনকে আসামি করে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজী, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ওসি জানান, এ মামলা দায়েরের পর বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ছয় নম্বর আসামি জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান ও সাত নম্বর আসামি আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় মাহেন্দ্র শ্রমিকদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ১৬টি মাহেন্দ্র ভাঙচুর করে। এ হামলায় ১০ জন মাহেন্দ্র শ্রমিক আহত হন। এর মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাহেন্দ্র শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেছেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানের ক্যাডার শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। শাহীন হাওলাদারসহ বেশকিছু যুবক কয়েক মাস ধরে ভাঙ্গা রাস্তারে মোড়ে অবস্থিত মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডটি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। তারা স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত প্রতিটি মাহেন্দ্রর কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। গত কয়েকদিন ধরে মাহেন্দ্র চালকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল যুবদল নেতার অনুসারী শাহীন হাওলাদার ও তার লোকজন। এজন্যই পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
জেলা মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও তার অনুসারী শাহীন হাওলাদারগংরা মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তারা এ স্ট্যান্ডটি তাদের দখলে নেওয়ার পায়তারা চালায়।