ঢাকা: সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। এর বিপরীতে ১ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে যে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে, তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। সরকার এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে এবং আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।
কিন্তু ঘোষণা না দিলেও দাম বাড়ানোর পুরনো কৌশলের পথে হাঁটছে তারা। ফলে দাম না বাড়ালেও বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম বেড়ে গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে কমিশন কমিয়ে দিয়েছে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। সরবরাহ সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গত তিন-চারদিনের ব্যবধানে এ দুই ধরনের তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৫ টাকার মতো। অন্যদিকে বোতলজাত তেলের দাম খুচরা পর্যায়ে না বাড়লেও পাইকারিতে বেড়েছে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা, খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দাম কমে গেলে গত ১২ আগস্ট প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।