ঢাকা: যতদিন আছি কোনো অবস্থাতেই সারের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশে সারের কোনো ঘাটতি হয়নি। আগামী মৌসুমেও যাতে ঘাটতি না হয় সে লক্ষ্যে আমরা এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। সার আমদানিতে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিগত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহারও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ণের কাজ চলছে।
উপদেষ্টা জুলাই অভ্যুথ্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগিত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, সারের বকেয়া ২০ হাজার ৬৯১ কোটি টাকাসহ মোট ২৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সার আমদানির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সরকারের ২৩৩.৬১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ হালনাগাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাটকলের অব্যবহৃত গুদামকে সার মজুতের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।