রংপুর: সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে মারধর ও হেনস্তার ঘটনায় রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমাকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বদলির আদেশ জারি করা হয়। আদেশ মতে তিনি এখন থেকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।
তবে তার বদলির আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ; তারা বলছেন উম্মে ফাতিমাকে শাস্তির বদলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি মানে এক ধরনের পদোন্নতি।
এর আগে, এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। বদলিকৃতরা হলেন- ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির শান্ত এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তম্ময়।
এদিকে সাংবাদিক অপহরণ, মারধর ও হেনস্তার ঘটনায় করা মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার দু্’জন হলেন- নগরীর শালবন মিস্ত্রি পাড়ার মহসিন মিয়ার ছেলে রকিবুল ইসলাম সাগর ও নগরীর পূর্ব অভিরাম ডাক্তার পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে রতন মিয়া। তারা দুজনেই কারাগারে।
এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর, সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সংবাদ, একুশে টেলিভিশন ও বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লিয়াকত আলী বাদলকে কাচারি বাজার থেকে জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে এনায়েত আলী রকি নামে এক যুবকের নেতৃত্বে অপহরণ করে সিটি করপোরেশনে নিয়ে মারধর করা হয়। তাকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমার কাছে জোরপূর্বক ক্ষমা চাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। পরে সিটি করপোরেশনের নতুন ভবনের প্রধান ফটক আটকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মব তৈরি করে মারধর ও হেনস্তা করেন।
লিয়াকত আলী বাদল অভিযোগ করেন, তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদে ‘রংপুরে জুলাই যোদ্ধাদের নামে অটোরিকশার লাইসেন্স, ৫ কোটি টাকা বাণিজ্যের পাঁয়তারা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এর জেরে তাকে টার্গেট করা হয়। তিনি উম্মে ফাতিমা, মিজানুর রহমান মিজু, সাবেক কাউন্সিলর লিটন পারভেজসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।