২০ দিনের জমজমাট এক লড়াই শেষে আজ পর্দা নামছে এশিয়া কাপের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাত ৮.৩০ মিনিটে এবারের আসরের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে লড়বে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় এশিয়া কাপ। সেবার ছিল না আনুষ্ঠানিক ফাইনাল ম্যাচ। ৩ দলের রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হওয়া সেই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত, রানার্সআপ হয়েছিল শ্রীলংকা।
১৯৮৬ সালেও অংশ নিয়েছিল তিনটি দল। সেবার প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, টুর্নামেন্ট বয়কট করেছিল ভারত। কলম্বোর ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে শ্রীলংকা।
১৯৮৮ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলংকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপার দেখা পায় ভারত। ১৯৯০ সালে ইডেন গার্ডেনসে আবারও শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ভারত।
১৯৯৫ সালের ফাইনালেও দেখা হয়ে যায় ভারত-শ্রীলংকার। শারজাহতে লংকানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক ট্রফি জিতেছিল ভারত।
১৯৯৭ সালে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ফিরে পায় শ্রীলংকা।
২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলংকাকে ৩৯ রানে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান।
২০০৪ সালে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতকে ২৫ রানে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে শ্রীলংকা। ২০০৮ সালে করাচিতে ভারতকে ১০০ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতে লংকানরা।
২০১০ সালে ডাম্বুলায় শ্রীলংকাকে ৮১ রানে হারিয়ে শিরোপা ফিরে পায় ভারত।
২০১২ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে যায় তারা।
২০১৪ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে শ্রীলংকা।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজন করা হয় এশিয়া কাপ। সেবার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। তবে এবারও ভারতের কাছে ৮ উইকেটের হারে শিরোপা জেতা হয়নি টাইগারদের।
২০১৮ সালে দুবাইতে আবারও ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। এবারও বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা বাগিয়ে নেয় ভারত।
২০২২ সালে দুবাইয়ের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে শিরোপা জেতে শ্রীলংকা।
২০২৩ সালে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলংকা ১০ উইকেটে হারিয়ে সবশেষ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত।