আর্জেন্টিনায় তিন নারীকে ইনস্টাগ্রাম লাইভে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির রাজধানী বুয়েনস আইরেস। ওই তিন নারীকে মাদক চক্রের সদস্যরা হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
একটি নারীবাদী গোষ্ঠীর আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নিহতদের স্বজনরা বলেন, ‘এটি একটি ভীতিকর হত্যাকাণ্ড!’
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর গত বুধবার বুয়েনস আইরেসের দক্ষিণ উপকণ্ঠে একটি বাড়ির উঠানে ২০ বছর বয়সী মোরেনা ভার্দি এবং ব্রেন্ডা দেল কাস্টিলো এবং ১৫ বছর বয়সী লারা গুতেরেসের মরদেহ পাওয়া যায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অপরাধটি মাদক চক্রের দ্বারা ইনস্টাগ্রামে লাইভে সংঘটিত হয়েছিল এবং একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের ৪৫ জন সদস্য তা দেখছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে নিহত ব্রেন্ডা’র বাবা লিওনেল দেল কাস্টিলো সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারীদের আগের চেয়েও বেশি সুরক্ষিত করা উচিত।’ তিনি আরও জানান, নির্যাতনের কারণে তিনি তার মেয়ের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
এসময় নিহত ব্রেন্ডা’র দাদা আন্তোনিও দেল কাস্টিলো কান্নায় ভেঙে পড়ে খুনিদের ‘রক্তপিপাসু’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি সত্য প্রকাশ পাবে। আমি জনগণকে আমাদের পাশে দাঁড়াতে বলছি।’
এদিকে, গত শুক্রবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ পঞ্চম সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের ঘোষণা দেন। এই ঘটনায় এর মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং দুইজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার পঞ্চম সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে গাড়ি সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। তাকে বলিভিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ভিলাজোনে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ২০ বছর বয়সী এক পেরুর নাগরিকের ছবি প্রকাশ করেছে তদন্তকারীরা, যিনি এখনো পলাতক রয়েছেন।