শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া বেগমকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ ঘরের বারান্দায় মাটি চাপা দেওয়ার দায়ে দায়ের করা মামলায় স্বামী ইলিয়াস শিকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শরীয়তপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইলিয়াস (৬৩) রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের করিম উদ্দিন মাদবরকান্দি গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে স্ত্রী আলেয়া বেগমকে নির্মমভাবে হত্যা করেন ইলিয়াস শিকদার। পরে তিনি মরদেহ বারান্দার নিচে মাটি চাপা দেন। পরদিন গ্রাম পুলিশ হাচেন আলী বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিন দিন পর জাজিরা থানার এসআই নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ইলিয়াসসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মোট ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আদালত ইলিয়াসকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০১ ধারায় মরদেহ গুমের অপরাধে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই মামলার অপর আসামি রত্না বেগম ও সেকান্দার সিকদারকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান খান দিপু বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার দায়ে ইলিয়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে মামলার অপর আসামিরা অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন।