Sunday 28 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান পার্বত্য উপদেষ্টার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:২৭ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:২৪

বক্তব্য রাখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

সভায় সুপ্রদীপ চাকমা পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর থাকতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে শুধু সরকারি বাহিনীর কাছেই অস্ত্র থাকবে, এর বাইরে কারো কাছে অস্ত্র থাকতে পারবে না। চাঁদাবাজির কারণে এই এলাকায় উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, পাহাড়ি নেতা রবি শংকর তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছারসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা।

এদিকে ধর্ষণ ও অবরোধকে ঘিরে এখনো থমথমে খাগড়াছড়ি। সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ টহল জোরদার করেছে। জরুরি কাজ ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।

১৪৪ ধারা চলমান থাকার পরও রোববার বেলা ১১টার দিকে গুইমারার রামছু বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কয়েকজন অবরোধকারী আহত হন। তবে এ বিষয়ে কোনো দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া রামছু বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানপাট আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য জানা গেছে।

এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এতে জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে আটক করে পুলিশ।

বাকি আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। অবরোধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। আবার এর কিছু সময় পর জানানো হয় কর্মসূচি চলবে।

সারাবাংলা/ইউজে/জিজি

পার্বত্য উপদেষ্টা শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর