ঢাকা: চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)।
এর আগে গত আগস্ট মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৪২ কোটি ২০ লাখ (২.৪২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
তিনি জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৭২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৬২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে। তাদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নতির ফলেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গত অর্থবছর ২০২৪-২৫ সালের মার্চে এককালীন সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৩২৯ কোটি ডলার এসেছে, যা ছিল বছরের রেকর্ড। পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এর তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ: জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে’তে ২৯৭ কোটি ডলার, জুনে ২৮২ কোটি ডলার, জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং আগস্টে ২৪২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।