ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি পেতে মরিয়া জাতীয় পার্টির সক্রিয় দুটি গ্রুপ। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছেন জিএম কাদের, অপরটির নেতৃত্বে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
আসল জাতীয় পার্টির দাবিদার দুই অংশই নিজেদের স্বীকৃতি দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে।
জাতীয় পার্টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশনও। ইতোমধ্যে লাঙ্গল কে পাবে এমন প্রশ্নে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির নাম শুনলে আমি কনফিউজড হয়ে যাই। ওখানে হাফ ডজন আছে।’
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাপার আনিসুল ইসলাম অংশের দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুরনো তথ্য ইসির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
অপরদিকে জিএম কাদের অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখতে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় পার্টির (জাপা) নিবন্ধন ও প্রতীক দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নামেই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন এই অংশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
এই অবস্থায়, জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নম্বর ১২ এবং প্রতীক লাঙ্গল-সংবলিত নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম যথাযথভাবে প্রতিস্থাপন করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাপা গঠনের পর ছয়বারের মতো দলটি ভাঙনের মুখে পড়ে। এরশাদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রওশন এরশাদপন্থী, জিএম কাদেরপন্থীদের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। মাঝে বিদিশা এরশাদের আওয়াজও শোনা যায়। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জিএম কাদেরকেই লাঙ্গল দেয় ইসি। বর্তমানে অপর দুই পন্থীর কোনো আওয়াজ না থাকলেও ফের শুরু হয়েছে লাঙ্গল নিয়ে টানাটানি।