Monday 29 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টাকা পাচারকারীরা সরকারের চেয়ে স্মার্ট: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৬ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫২

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ – ছবি : সারাবাংলা

ঢাকা: টাকা পাচারকারীরা সরকারের চেয়ে স্মার্ট বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন এবং ‘কর্পোরেট খাতে আর্থিক স্বচ্ছতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল বাংলাদেশের (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি এনকেএ মবিন প্রমুখ।  ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

বিজ্ঞাপন

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কোম্পানিগুলোতে যে কতো ধরণের তেলেসমাতি হয়- আমি এখন টের পাই, কী যে হচ্ছে, না হচ্ছে। সরকারের চেয়ে কোম্পানিগুলো স্মার্ট হয়। স্মার্ট বলেই তারা এতো টাকা অর্থ পাচার করতে পেরেছে। টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রথমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, আরেক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, এভাবে পাচার হয়।

-ছবি : সারাবাংলা

টক শো-তে বাংলাদেশের জন্যে পজেটিভ কথা বলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,  গতকাল এক অনুষ্ঠানে একজন অন্তর্বর্তী সরকারকে অথর্ব-টথর্ব বলে অনেক কথা বলেছে। দিস ইজ দ্যা ন্যারিটিভ অব সাম পিপল হু আর হেল্প ইন দ্য ফ্যাসিস্ট। এই ন্যারিটিভগুলো বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুর্বল করছে, ফ্যাসিস্টকে আরও উৎসাহ দিচ্ছে। পরে বলেছে, টাকা পয়সা মারে নি, ব্যাংককে আরও স্ট্যাবল করেছে, রিজার্ভ বেড়েছে। আমরা যে সব ভালো করছি- তা নয়। বাইরে কিন্তু বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভালো। আমি তো অনেক ধরণের ডোনারের সঙ্গে কথা বলি, তারা কিন্তু ইতিবাচক।

ইআরএফ-কে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘ইআরএফ আরও অর্থ চেয়েছিলো। বেশি দিতে পারি নি। যে অর্থ দিয়েছিলাম, তা দিয়ে প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট করছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করবো।

এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, সারা পৃথিবীতে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান অনেক কার্যকারী। বাংলাদেশে এখনো আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এখনো কার্যকারী হয়নি। ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে আইসিএবি’র ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে বদ্ধপরিকর। কর্পোরেট সেক্টরে কীভাবে স্বচ্ছতা আনা যায়- সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর্থিক স্বচ্ছতা আনার প্রথম দলিল হচ্ছে অডিট রিপোর্ট। আর্থিক দলিলে যারা অস্বচ্ছতা দেখাচ্ছে, ফুল ডিসক্লোজ করছে না, কর ফাঁকি দিচ্ছে- তাদের নিয়ে কাজ করছি। সম্পদের মূল্য সঠিকভাবে যদি আর্থিক দলিলে প্রতিফলিত হয়, তাহলে ব্যাংক লোন দিলে তা ফেরত পাবে। আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা বলেন, ‘আজ আমাদের এই সংগঠনের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। আমরা ইআরএফ ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য নতুন মাইলফলক।’

একাডেমিক কার্যক্রম বিষয়ে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, প্রথমে আমরা স্বল্পমেয়াদী কোর্স পরিচালনা করবো। যারা অর্থনীতি বিটে সাংবাদিকতা করেন বা করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আমাদের সদস্য নয়; তারাও এ ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সের মেয়াদ হবে এক, দুই বা তিন দিন। আগামী অক্টোবর থেকে এই প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরো হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ও আইসিএবি এর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

অর্থ উপদেষ্টা ইআরএফ সেমিনার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর