Monday 29 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ‘দখল’ নিয়ে তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য: একপক্ষ বেজাড়, আরেকপক্ষ খুশি

স্পেশাল‌ করেসপন্ডেন্ট
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৩ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৯

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ‘দখল করা’ সংক্রান্ত তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এক বক্তব্য সাংবাদিকদের মধ্যে বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ বক্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া চলছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্তর্বর্তী কমিটি মনে করছে, তথ্য উপদেষ্টার এ বক্তব্য সংগঠনটির সদস্যদের মর্মাহত করেছে। ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকরা তথ্য উপদেষ্টাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে বলেও তাদের ধারণা। অন্যদিকে তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্যে খুশি হয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আট সংগঠনের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটি এবং আট সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা-আলাদা বিবৃতি পাঠানো হয়েছে গণমাধ্যমে।

এর আগে, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রেসক্লাব যেভাবে দখল হয়ে বসে আছে। চিটাগাং প্রেসক্লাবের ইস্যু আমি গত এক বছরে সলভ করতে পারিনি। বিকজ অব দ্য পলিটিক্যাল পার্টিজ ইনভলভমেন্ট দেয়ার। ওখানে পলিটিক্যাল পার্টি এবং ওখানে জুয়া চলে, ওখানে আরও কী কী চলে! আমি ওগুলো ডিসিকে বলে বন্ধ করতে পারছি কিছুটা। কিন্তু এই যে প্রেসক্লাবের ইস্যুটা ওখানে রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে এটা এখনও… একটা নির্বাচন হয়নি। এক বছরে একটা নির্বাচন হয়নি প্রেসক্লাবে, চিটাগাং প্রেসক্লাবে। সো, দিস ইজ দ্য রিয়েলিটি…।’

এ ইস্যুতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দখল করা’ সংক্রান্ত তথ্য উপদেষ্টার মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যদের মর্মাহত করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নেতারা মনে করেন, তথ্য উপদেষ্টাকে গণহত্যার উসকানিদাতা, ফ্যাসিবাদের দোসর, দলবাজ সাংবাদিকরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে।

‘প্রকৃতপক্ষে ৫ আগস্ট (২০২৪ সাল) বিকেলে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে ভারতীয় দালাল ও ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করেছিল। সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তালা লাগিয়ে দেয়। সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে তৎকালীন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে ২০২৪ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি ঘোষণা করা হয়।’

এতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করা, মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন করে গণহত্যায় উসকানি দেওয়া ছাড়াও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পাশ্ববর্তী একটি দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত দিবস উদযাপন করে আসছিল সংঘবদ্ধ চক্র। চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের পাশাপাশি সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা তিন যুগ ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গজিয়ে উঠা দলবাজ চক্র-ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত প্রেসক্লাব দেখতে চায় বলেই সরকার সেই উদ্যোগ নিয়েছিল। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনে গ্রহণযোগ্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক নেতাদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন কর হয়েছিল।

তথ্য উপদেষ্টা তার বক্তব্যে প্রেসক্লাব ‘দখল’ তকমা দিয়ে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতার অবদানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী কমিটি।

কমিটির ভাষ্য, অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনের জন্য বিবদমান সাংবাদিকদের দুইপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন করে নাম দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন কমিটি নাম জমা না দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সময় নিয়ে প্রতারণা করে আদালতের দারস্থ হন। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই কমিটির মেয়াদ পার হয়ে গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী কমিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, অধিকার বঞ্চিত প্রকৃত সাংবাদিকদের সদস্যপদ প্রদান, গণহত্যায় উসকানিদাতা সাংবাদিক নামধারী আওয়ামী লীগ কর্মীদের বহিষ্কার, ভবন থেকে বিতর্কিত (বঙ্গবন্ধু) কর্নার ও ব্যক্তির (বঙ্গবন্ধু) ছবি অপসারণ, বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হল করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের স্বীকৃতি স্মারক প্রদানসহ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজে ইতিবাচক সফলতা এসেছে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নির্বাচন না হওয়ার বিসয়ে তথ্য উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়ে কমিটির ভাষ্য, ছাত্র-জনতা ও সাংবাদিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ফ্যাসিবাদের ঘাঁটির পতন হয়েছিল। যাচাই-বাছাই করে প্রেসক্লাবে নতুন যোগ্য সদস্য অন্তর্ভুক্তকরণ, সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার, সমাজসেবা অধিদফতরের অনুমোদন গ্রহণের আবেদন, ভোটার তালিকা তৈরির মতো প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে প্রেসক্লাবের নির্বাচন চায় ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিকরা।

‘চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে সমাবেশ ডাকাসহ গণহত্যায় উসকানিদাতাদের কোনো স্থান হবে না মর্মে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অধিকাংশ সমন্বয়ক এবং ছাত্রনেতারা। কারণ এসব দোসর সাংবাদিকরাই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে ভূমিকা না রেখে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আরও হিংস্র হতে সাহস যুগিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে সেই স্মারকলিপিতে।’

প্রেসক্লাবে জুয়ার আসর বসানোর বিষয়ে অন্তর্বর্তী কমিটি বলছে, তথ্য উপদেষ্টার এ বক্তব্য আপত্তিকর। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবেও দীর্ঘসময় ধরে হাউজি খেলা চলে আসছে। সরকার অনুমোদিত হাউজির জন্য প্রেসক্লাবের হল ভাড়া দেওয়া কোনোভাবেই আইনের ব্যত্যয় নয়। বরং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে (আগের কমিটির সময়ও) হাউজির জন্য হলরুম ভাড়া দেওয়া হয়ে আসছে – এটি নতুন কিছু নয়। ভাড়ার টাকায় প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ছাড়াও সদস্যদের কল্যাণে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা করার রীতিও পুরনো।

‘প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এ প্রেসক্লাব বরাবরই দেশ ও জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে ভারতীয় তাবেদারির ইজারাদার ও আওয়ামী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর পবিত্রতা ও ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এখনো চট্টগ্রামে ফ্যাসিবাদের দোসর একজন কথিত সাংবাদিককেও আইনের আওতায় আনা হয়নি। অথচ সাংবাদিক নামধারীরা জুলাই আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিল, নারী সাংবাদিকদের অপদস্থ করেছিল।’

এসব সাংবাদিকদের কাউকে আইনের আওতায় না এনে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটি।

তথ্য উপদেষ্টাকে আট সংগঠনের অভিনন্দন

এদিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ‘দখল’ ও অচলাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অভিনন্দন জানিয়ে যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন আট সংগঠনের নেতারা। এরা হলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম ও যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি খোরশেদ আলম ও সম্পাদক যীশু রায় চৌধুরী, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিরুদ্দিন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মামুন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অচলাবস্থা বিরাজমান। কিছু বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে এ ক্লাব দখলে নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি প্রশাসন এ সময় রহস্যজনক নীরবতা পালন করেছে। দখলে নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও তা হয়নি। বর্তমানে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে সপ্তাহে চারদিনের জুয়ার আসর। লুট হয়ে যাচ্ছে ক্লাবের নিয়মিত আয়ের বড় একটি অংশ। গোপনে চলছে ক্লাবের বিভিন্ন ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার নামে গোপন চুক্তির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতা।

‘তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। দীর্ঘসময় পর হলেও প্রেসক্লাব নিয়ে সত্য প্রকাশ করায় উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাই। তথ্য উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান, হাল ছেড়ে না দিয়ে এ ক্লাবকে লুটেরা ও দখলদার গোষ্ঠীর হাত থেকে উদ্ধার করে এটিকে সচল করে অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যকর পদক্ষেপ নিন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চিহ্নিত গুটিকয়েক সাংবাদিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে ৬৩ বছরের এ ক্লাব দখল করে নেয়। সন্ত্রাসীরা ওইসময় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লুটে নেয় কিছু নগদ অর্থ। কয়েকমাস অচলাবস্থা চলার প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ক্লাবের নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি অবৈধভাবে ভেঙ্গে দিয়ে নিজে আহ্বায়ক হয়ে ৪ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করেন। চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে এগিয়ে আসেনি।

‘এর ফলে জেলা প্রশাসককে ব্যানারে রেখে অন্তর্বর্তী কমিটির অপর তিন সদস্য এ ক্লাবকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। দখলদারদের চালবাজিসহ নানা বিষয় টের পেয়ে ডিসি এ কমিটি থেকে সরে যান। কিন্তু খণ্ডিত কথিত কমিটি নানা অপকর্মের জাল বিস্তৃত করে রেখেছে। গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান না মেনে তারা এ ক্লাবের ৯৬ জন স্থায়ী সদস্যের সদস্যপদ বাতিল ও স্থগিত করেছে। এর পাশাপাশি মনগড়াভাবে অসাংবাদিকসহ অনেককে ক্লাবের সদস্যপদ দিয়েছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ক্লাবের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।’

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘প্রেসক্লাব বর্তমানে চাঁদাবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দখলদারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নতুন সদস্যপদ পাওয়া লোকজন রীতিমতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেককে হুমকিধমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের পথ প্রশস্ত করে রেখেছে। এসব ঘটনায় কথিত সাংবাদিক নামধারীদের কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছে। দখলদাররা ক্লাবের প্যাড ব্যবহার করে অনৈতিক পন্থায় ডিও লেটার পর্যন্ত দিচ্ছে, যা সৎ সাংবাদিকতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

‘চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা দখলদারদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ক্লাবে আসা-যাওয়ার বন্ধ রেখেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও ক্লাবের সাধারণ সদস্যরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে আছেন। তবে আগামীতে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত এড়াতে অনতিবিলম্বে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই। এ ছাড়া ২৮৩ জন স্থায়ী সদস্যকে নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।’

সারাবাংলা/আরডি/এইচআই

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব তথ্য উপদেষ্টা

বিজ্ঞাপন

বিএসটিআই’র ক্যালিব্রেশন ফি হ্রাস
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর