ভালুকা: রাজনীতির মাঠে বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতার পদচারণায় হতাশ ভালুকা উপজেলার নেতাকর্মীরা। সুশীল সমাজ, পেশাজীবী ও বিবেকবান মানুষও এমন কর্মকাণ্ডে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এমনকি বহিষ্কৃত নেতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রশয় দেওয়া বিএনপির দ্বৈতনীতি ও স্ববিরোধী অবস্থান বলছেন কেউ কেউ।
এর আগে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ১ সেপ্টেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলাও করেন।
তবে বহিষ্কৃত বাচ্চু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজস্ব দলবল নিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ও চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, ফখরুদ্দিন বাচ্চু তৃণমূল কর্মীদের মাঝে ছড়িয়েছেন যে, তিনি দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজনকে ম্যানেজ করেছেন এবং মনোনয়ন পাবেন। গত রোববারও (২৮ সেপ্টেম্বর) বাচ্চু পক্ষের ছাত্রদল নামধারী কয়েকজন যুবক ভালুকা থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘দলে যদি পুনরায় বহিষ্কৃত কর্মীকে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে সারাদেশে বিএনপির চেইন অব কমান্ড সম্পর্কে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে। এতে চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুকে বারবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।