ঢাকা: ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী নাসা গ্রুপের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা নাসা গ্রুপ পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নাসা গ্রুপের অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা জানান। সভায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রমিক, মালিক, বিভিন্ন ব্যাংক ও নাসা গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, নাসা গ্রুপের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি সই করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষ তাদের শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধে ফান্ড সংগ্রহ করে অতি দ্রুত পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সকল শ্রমিকদের পাওনাদি অনলাইনে (বিকাশ, নগদ, রকেট ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকিং ইত্যাদি) পরিশোধ করতে হবে। যে সকল শ্রমিকদের উল্লিখিত অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের নামের বিস্তারিত তালিকা করে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সমঝোতা চুক্তি অঙ্গীকার মোতাবেক নাসা গ্রুপ শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করবে।
শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধে অর্থের সংস্থানের বিষয়ে বৈঠকে বলা হয়, এক্সিম ব্যাংকে নাসা গ্রুপের জমাকৃত প্রায় ২৪ (চব্বিশ) কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা নিতে হবে; ইসলামী ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখায় নাসা গ্রুপের ক্যাশ ইনসেনটিভ বাবদ ২ কোটি ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৪০ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়করণ করতে হবে; সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকে রক্ষিত নাসা গ্রুপের রফতানি বিল থেকে প্রাপ্ত ৪ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৭ টাকা হতে ১% ডাউন পেমেন্ট কর্তনপূর্বক অবশিষ্ট সমুদয় টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার (কারান্তরীণ) এর কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সইয়ের সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।