ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতিসংঘের সভায় প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আলজাজিরাকে বলেছেন—অনেকে তাকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলেছেন। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি কী বার্তা দিচ্ছেন?
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মাছের পোনা ছাড়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কতদিন ক্ষমতায় থাকবেন তা জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যখন একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল। সেই সময়েই তিনি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। এখন আবার প্রধান উপদেষ্টা তার ক্ষমতায় থাকা নিয়ে যে কথা সাংবাদিকদের বলেছেন, এতে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। সবাই ভেবেছিল প্রধান উপদেষ্টার দেশ-বিদেশে অনেক জোগসূত্র রয়েছে। তাই বিদেশ থেকে অর্থনৈতিক লোন আসবে, কিন্তু গত এক বছরে কেউ কিছু দেয়নি। দেশের ব্যাংকগুলো একেবারেই শূন্য।’
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত হলে তারেক রহমানের নির্দেশে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের দায়িত্ব, সেটি সরকার করতে পারছে না।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ বিরোধী একটি শক্তি এবং ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। না হলে পাহাড়ে এই অনিশ্চয়তা কেন?’
জামায়াত প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, অনেকে জামায়াতকে ‘ছায়া সরকার’ বলছে। তবে বিএনপি দেশকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে নিতে চায়। আমরা চাই শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সবযোগ্য মানুষরা থাকবেন। শুধুমাত্র ছায়াসরকারের লোকজনই যেন সেখানে নিযুক্ত না থাকে।’
তিনি বলেন, ইসলামিক দলগুলো জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু জনগণ পিআর চায়না। জনগণ তার ভোট তার পছন্দের প্রার্থীকে দেবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। এটাই প্রচলিত। এটাই চলবে।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, সামাজিক ও পরিবেশগত কাজেও যুক্ত রয়েছে। তারেক রহমানের নির্দেশে মৎস্যজীবী দল, তাঁতি দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে মাঠে পরিবেশগত কাজও করা হচ্ছে। তার এই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা এই লেকে মাছের পোনা ছেড়েছি। রাজনীতিতে আমাদের মূলমন্ত্র রাজনীতি হলেও দেশের পরিবেশ এবং জনগণকে নিয়ে সম্পৃক্ত একটি দেশ গঠন করাও আমাদের লক্ষ্য। তারিখ ধারাবাহিকতায় আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের পরিবেশগত কাজও করে যাচ্ছি।
এ সময় রিজভী বলেন, দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। এর কোনো বিকল্প নেই।