Thursday 02 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাজায় পৌঁছাতে পারেনি গ্লোবাল সুমুদ ‘ফ্লোটিলা’, পাঠানো হবে ইউরোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪৮ | আপডেট: ২ অক্টোবর ২০২৫ ২১:২৮

গ্রিসের উপকূলে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় একটি নৌকা। ছবি: রয়টার্স

হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা ও গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গ্লোবাল সুমুদ ‘ফ্লোটিলা নৌবহর’ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলের নৌবাহিনী।

এক প্রতিবেদনে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রায় ৪৫টি জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন ৫০০ অধিকারকর্মী এই বহর গাজায় যেতে দেয়নি ইসরায়েল। বুধবার (২ অক্টোবর) রাত থেকেই দখলদারদের নৌ কমান্ডোরা এসব জাহাজ আটক করা শুরু করে। এ অভিযান বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চলে।

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর শায়েতেত ১৩ কমান্ডো ইউনিট গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৭টি নৌযানের মধ্যে অন্তত ৪০টিতে অভিযান চালায়। এতে থাকা কয়েকশ কর্মীকে আটক করে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ফ্লোটিলার যাত্রীদের সবাইকে নিরাপদে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নৌবহরের প্রথম দিকের আটক হওয়া নৌযানের একটি ছিল সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বহনকারী। মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে আটক করার পর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ফরাসি রাজনীতিবিদ মেরি মেসমেউর এবং ফ্রাঙ্কো-ফিলিস্তিনি এমপি রিমা হাসানসহ আরও অনেক কর্মীকেও আটক করা হয়েছে।

আয়োজকদের দাবি, এক মাস আগে স্পেন থেকে যাত্রা করা এই ফ্লোটিলায় প্রতীকী পরিমাণ মানবিক সহায়তা এবং প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তবে ইসরায়েল বলছে, তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ইসরায়েলি নৌবাহিনী জানিয়েছে, কোনো জাহাজই গাজার উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। একটি নৌকা যান্ত্রিক সমস্যায় মাঝসমুদ্রে আটকে আছে, তবে সেটিও গাজায় পৌঁছাতে পারবে না বলে সতর্ক করেছে ইসরায়েল।

এদিকে ফ্লোটিলার আয়োজকরা বলেছিলেন, একটি জাহাজ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে দখলদার ইসরায়েল দাবি করেছে, লাইভ ট্রেকারের ত্রুটির কারণে জাহাজটিকে গাজার জলসীমায় দেখানো হয়েছিল। বাস্তবে জাহাজটি গাজার কাছে যায়নি। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আয়োজকদের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা এখন পর্যন্ত ৩৯টি জাহাজ আটক করেছে। কিন্তু একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে যাচ্ছে।

প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, গাজায় সাহায্য পাঠাতে হলে প্রতিষ্ঠিত চ্যানেলের মাধ্যমেই যেতে হবে। নৌবহরের যাত্রীরা চাইলে আশদোদ বন্দরে সাহায্য নামিয়ে দিতে পারেন, যা নিরাপত্তা পরিদর্শনের পর গাজায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এসএস

‘ফ্লোটিলা’ ইউরোপ গাঁজা গ্লোবাল সুমুদ পাঠানো পৌছা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর