ফ্রান্স: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যাদের নাম এরই মধ্যে ভোটার তালিকায় রয়েছে, কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, শুধুমাত্র তারাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি জানান, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন তিনটি পদ্ধতির প্রস্তাব করেছিল। সেগুলো হলো- পোস্টাল ব্যালট, প্রক্সি ভোটিং ও অনলাইন ভোটিং। তবে অনলাইন ভোটিং আপাতত সম্ভব নয়। আর রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির কারণে প্রক্সি ভোটিং বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে প্রবাসী ভোটের জন্য একমাত্র কার্যকর সমাধান হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট।
নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, প্রতিটি ভোটে সরকারের খরচ হবে প্রায় ৭০০ টাকা। তবে প্রবাসী ভোটারদের কোনো চার্জ দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জন্মনিবন্ধনের সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি— প্রায় ৩৩ কোটি। এ বিষয়ে তিনি স্বীকার করেন যে, সিস্টেমগত জটিলতা ও একাধিক নিবন্ধনের কারণে এমন সংখ্যা দেখা যাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় কমিউনিটির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফ্রান্স বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের, ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফবিজেএ)-এর সমন্বয়ক মাহবুব হোসাইন, বাংলাদেশি নাগরিক পরিষদ ফ্রান্স শাখার সভাপতি আবুল খায়ের লস্কর ও সংগঠনের উপদেষ্টা জালাল আহমদ।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ডায়াস্পোরা এলায়েন্সের আঞ্চলিক সংগঠক ইশতিয়াক আকিব এবং ফ্রান্স যুবদলের সভাপতি আহমেদ আব্দুল মালেক প্রমুখ।