Friday 03 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, জীবিকার অনিশ্চয়তায় জেলেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৫১ | আপডেট: ৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৮

জেলেরা ইতোমধ্যে মাছ ধরা বন্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য দেশের সব নদী ও সাগরে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

নিষেধাজ্ঞা ঘিরে কুয়াকাটা, মহিপুর ও আলীপুরের জেলেরা ইতোমধ্যে মাছ ধরা বন্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ট্রলারগুলো নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং অনেকেই এই সময়টায় প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজও সেরে নেবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অফিস জানায়, এই সময় নিষেধাজ্ঞা মানলে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে, ফলে উৎপাদন বাড়ে এবং জাতীয় মাছ ইলিশের বংশধারা রক্ষা পায়। তবে জেলেদের অনেকেই বলছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও অবরোধ মেনে চললেও তারা জীবিকার অনিশ্চয়তায় পড়ছেন।

বিজ্ঞাপন

কলাপাড়া উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের পর থেকে জেলেদের তালিকা হালনাগাদ হয়নি। বর্তমানে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০৫ জন। জেলেদের অভিযোগ, পুরোনো তালিকায় পেশা বদলানো লোকদের নাম রয়ে গেছে, আর নতুন যারা পেশায় যুক্ত হয়েছেন, তারা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত।

এ প্রসঙ্গে লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সওকত হোসেন বিশ্বাস বলেন, তালিকা দ্রুত হালনাগাদ না হলে সহায়তা বিতরণে বৈষম্য থেকেই যাবে।

আলীপুর মৎস্য বন্দরের জেলে ফারুক মাঝির মতে, নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ার পরও প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত ডিমওয়ালা ইলিশ জালে ধরা পড়ে। তাই অবরোধের সময়সীমা কিছুটা পিছিয়ে দিলে এর সুফল আরও বেশি পাওয়া যাবে।

মৎস্য বন্দর মহিপুরের ইলিশ ব্যবসায়ী ও মনি ফিশের মালিক আ. জলিল ঘরামি জানান, মৌসুমের বড় একটি সময় প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সাগরে যেতে পারেন না। নিম্নচাপের সময় সমুদ্র উত্তাল হয়ে পড়লে তারা ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরে আসেন, এতে লোকসান বাড়ে।

বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, টেকসই ইলিশ উৎপাদনের জন্য প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা জরুরি হলেও প্রকৃত জেলেদের তালিকা হালনাগাদ ও সহায়তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করলে দীর্ঘমেয়াদে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসবে না।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ইলিশ সংরক্ষণে এই অবরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত জেলেদের সহায়তা নিশ্চিত করতে তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। তিনি জানান, কিছু ইলিশ নিষেধাজ্ঞার পরও ডিম ছাড়ে ঠিকই, তবে বৈজ্ঞানিকভাবে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবরই মূল প্রজননকাল হিসেবে চিহ্নিত।

সারাবাংলা/জিজি

বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬৩
৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৯

আরো