সিলেট: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মুদি ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ড নতুন মোড় নিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হানিফ আহমেদ সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জকিগঞ্জ থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে শুক্রবার এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, শ্যালক, দুই মেয়ে ও নিকটাত্মীয়সহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
নিখোঁজের তিন দিন পর গত বুধবার বিকেলে শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের পেছনের একটি ধানখেত থেকে নোমান উদ্দিনের (৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কালিগঞ্জ বাজারের একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের অভিযোগ, নোমান উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, ঘটনার পর পরিবারের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। সিসি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলা এবং মরদেহ উদ্ধারের সময় পরিবারের সদস্যদের থানায় না থাকা, ঘটনাটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্যালক সুমনকে আটকের পরও স্ত্রী, সন্তান, ও কয়েকজন নিকটাত্মীয়সহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে একাধিক দিক সামনে রেখে কাজ চলছে। তবে এখনো প্রকাশ করার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। শুক্রবার বিকেলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুরো হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। আটক সুমনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত নোমান উদ্দিন প্রায় ২০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। দেশে ফিরে কালিগঞ্জ বাজারে মুদি ব্যবসা শুরু করেন।