চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী শনিবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ব্যাটালিয়নের অধীন মুজিব নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ১০৫ এমপি’র কাছে সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশ পার্শ্বে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ৬ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল নাজমুল হাসান ও স্টাফ অফিসারসহ ১০জন এবং ভারতের ১৬১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সুভাস চন্দ্র গাগুয়ার ও স্টাফ অফিসারসহ ১৩জন অংশগ্রহণ করেন। পতাকা বৈঠকের শুরুতে উভয়ই ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একে অপরকে স্বাগত জানান এবং কুশল বিনিময় করেন।
পরবর্তীতে উভয়ই ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ বিজিবি-বিএসএফ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, মানবপাচার রোধ,বিএসএফ কর্তৃক অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিক পুশইন না করা এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেন।
পতাকা বৈঠক চলাকালে ১৬১ বিএসএফ কমান্ড্যান্ট কর্তৃক পূর্বে অনুমোদনকৃত সীমান্ত পিলার ৮৭ হতে ৯২/৮-আর পর্যন্ত কাঁটাতার বিহীন এলাকায় ভারতীয় পার্শ্বে কাঁটাতার স্থাপন কাজ শুরু করার বিষয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রতিউত্তরে ৬ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, প্রস্তাবিত কাঁটাতারের বেড়া এলাকাটি পূর্বে অনুমোদন করা থাকলেও বর্তমানে ভৌগলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নুতন করে যৌথ পরিদর্শন করা প্রয়োজন। ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে কাঁটাতার স্থাপনের বিষয়ে নতুন করে প্রস্তাবনা পাঠানোর বিষয়ে পরামর্শ দেন।
এছাড়াও কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়ে চোরাচালানসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে টহল তৎপরতা জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন।
পতাকা বৈঠক শেষে উভয়ই ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ নিকটবর্তী সীমান্ত পিলার ১০৫ পরিদর্শন করেন। শেষে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আগামী দিনগুলোতেও সুসম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পতাকা বৈঠকটি শেষ হয়।