ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপর রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত একজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে পরিকল্পিত বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সুমি অঞ্চলের শোস্টকা রেলস্টেশনে এই হামলা হয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান বাহিনী জানত তারা বেসামরিক যাত্রীদের ওপরই হামলা চালাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’
স্থানীয় প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ট্রেনের এক বগিতে ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পুনর্গঠন মন্ত্রী ওলেক্সিই কুলেবা জানান, রাশিয়া দ্রুতক্রমে দুটি যাত্রী ট্রেনকে লক্ষ্য করে আঘাত করে। প্রথমে একটি স্থানীয় ট্রেন ও এরপর কিয়েভগামী আরেকটি ট্রেন। উদ্ধারকাজ চলার সময় দ্বিতীয় হামলাটি হয়।
সুমির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরতেম কোবজার টেলিগ্রামে জানান, ‘আহত যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। দমকলকর্মী, চিকিৎসক ও জরুরি সেবা সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
ইউক্রেনের জাতীয় রেল সংস্থা উক্রজালিজনিতসিয়া-এর প্রধান ওলেক্সান্দর পের্তসোভস্কি বলেন, ‘এটি একটি নিকৃষ্ট হামলা, যার একমাত্র লক্ষ্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা। কোনো সামরিক উদ্দেশ্য ছিল না।’
গত দুই মাস ধরে রাশিয়া প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের রেলওয়ে ও জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা চালাচ্ছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্যাস স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এর ফলে উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।