ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) দীর্ঘ ৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।
এর আগে, গত ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠেছেন।
পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা কম্বাইন্ড একক ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা গত ৩১ আগস্ট হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই দিন রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের দুই অনুষদের একত্রে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদানের আন্দোলন চলে আসছিল। ৩১ আগস্ট এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এক বৈঠকে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদানসহ আলাদা আলাদাভাবে এই দুই অনুষদের ও পৃথক ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীরা না মেনে এককভাবে কম্বাইন্ড একটি ডিগ্রি প্রদানের দাবিতে ক্যাম্পাসের জয়নাল আবেদিন মিলনায়তনে ভিসিসহ দুইশতাধিক শিক্ষককে প্রায় সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ৮টার দিকে কতিপয় বহিরাগতরা এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে শিক্ষকদের মুক্ত করে। তারপর থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে দফায় দফায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আন্দোলনচলাকালীন সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের হল ছাড়েনি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থদের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়নি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং হল বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়।
ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই আজ ৫ অক্টোবর থেকে যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসসমূহ শুরু হয়েছে।