ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের দার্জিলিংয়ের মিরিক ও সুখিয়া পোখরিতে পাহাড় ধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলা পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, টানা বৃষ্টিতে দার্জিলিং–সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দার্জিলিং–শিলিগুড়ি সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল হাইওয়ে ১০-এ একাধিক জায়গায় ধস নামায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭১৭এ পরিষ্কারের কাজ চলছে।
পানবু–কালিম্পং সড়ক খোলা থাকলেও তিস্তা বাজার এলাকায় জলবদ্ধতায় দার্জিলিং–কালিম্পং রুট বন্ধ রয়েছে। করোনেশন ব্রিজ দিয়ে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের সংযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে লাবা–গরুবাথান রুট ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সিকিমের ছয় জেলায় দুই দফা রেড অ্যালার্ট জারি করে। প্রবল বজ্রঝড়, বজ্রপাত ও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। সকাল নাগাদ অ্যালার্টের মাত্রা কমিয়ে অরেঞ্জে নামানো হয়। দফতর জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) দার্জিলিংয়ের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে। টাইগার হিল, রক গার্ডেনসহ জনপ্রিয় স্পটগুলো এখন বন্ধ। দার্জিলিং টয় ট্রেন সার্ভিসও স্থগিত করা হয়েছে।