ঢাকা: শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শাটডাউন ও দুর্গাপূজার টানা ১৫ দিনের ছুটি শেষে ফের জমে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রচার।
ছুটি শেষে রোববার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের প্রচারে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। এদিকে রাকসুর প্রচারের সময় ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে পরিবহণ মার্কেট, টুকিটাকি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের হাতে ব্যালট নম্বর ও অঙ্গীকারপত্র তুলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন তারা। তবে ছুটি শেষে প্রথম দিন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমই দেখা গেছে। দুয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন প্রার্থীরা।
প্রচারকালে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটির পর আজ আমরা আবার প্রচারে ফিরেছি। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আমরা জোহা স্যারের কবর জিয়ারত করেছি। এর পর পরই প্রচার শুরু করেছি।’
শিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের প্রথম দিকে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল, যা পোষ্যকোটা ইস্যু সামনে এনে নষ্ট করা হয়েছিল। বারবার রিসিডিউল করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে রাকসু নির্বাচনের চলমান ট্রেনকে কেউ থামাতে পারবে না।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘রাকসু বানচাল করার চিন্তা থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত রাকসু উপহার দিন।’
সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ফের উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি। রাকসু নির্বাচন পেছানোর কারণে প্রচারের সময়ও বাড়ানো হয়েছে। ৫ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আচরণবিধি মেনে প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।’
উল্লেখ্য, রাকসুর ২৩টি পদে লড়ছেন ২৪৭ প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং ছাত্র ১৭ হাজার ৫৯৬। এছাড়া সিনেট নির্বাচনে ৩০৬ জন এবং হল সংসদে ৬০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে থাকেন। এতে নির্বাচন কমিশনের এক জরুরি সভায় ভোটগ্রহণের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই প্রচারের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।