চট্টগ্রাম ব্যুরো: কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা মিয়ানমারের নাগরিক এক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে ইয়াবা পাচারের মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরেক আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন বলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।
দণ্ডিত মো.ইউসুফ (৩৯) মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসার পর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং পুরাতন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করেন। খালাস পাওয়া সেলিম হোসেনের (৩৯) বাড়ি বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায়।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফ ও সেলিমকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল। এ সময় তাদের কাছে থাকা ট্রাভেল ব্যাগে তল্লাশি করে ৪৯ হাজার ২৮০টি ইয়াবা ও ৪০ গ্রাম ইয়াবার গুঁড়া উদ্ধার করা হয়।
ইয়াবা বহন, স্থানান্তর ও কেনাবেচার উদ্দেশে হেফাজতে রাখার অভিযোগে র্যাব-৭ কার্যালয়ে কর্মরত উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ সারাবাংলাকে জানান, মামলা তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার এসআই রবিউল হক। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত ইউসুফ ও খালাস পাওয়া সেলিম উভয়ে জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। আদালত ইউসুফের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।