ঢাকা: টাইফয়েড টিকাদানে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং গণমাধ্যম পেশাজীবীদের সচেতন ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে টিসিভি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় ‘ন্যাশনাল লেভেল কনস্যুলেশন ওয়ার্কশপ অন টিসিভি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ২০২৫ উইথ মিডিয়া পিপল অ্যান্ড জার্নালিস্ট’ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালা।
এ আয়োজনের মাধ্যমে টিসিভি টিকাসংক্রান্ত তথ্য, বার্তা ও জনস্বাস্থ্যগত গুরুত্ব সাধারণ জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমকে আরও কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার ৭০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা টিসিভি টিকার কার্যকারিতা, নিরাপত্তা, টিকাদানের সময়সূচি, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠী এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যকর কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ হিরুজ্জামান, এনডিসি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনস্বীকার্য। বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টিসিভি টিকাদান কর্মসূচি একটি সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গণমাধ্যমের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা জনগণের সর্বস্তরে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশ এই কার্যক্রমে যে কারিগরি ও কৌশলগত সহায়তা দিয়েছে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদহিরুজ্জামান, এনডিসি বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে পোলিও, কলেরা ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তার পেছনে গণমাধ্যমের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, টিসিভি টিকাদান কর্মসূচি ও গণমাধ্যমের শক্তিশালী অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল প্রচারের মাধ্যমে একটি সফল জাতীয় উদ্যোগে পরিণত হবে।’
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা. চন্দ্র সেগারার সলোমান, ইপিআই বাংলাদেশের ফোকাল পয়েন্ট ডা. রাজীব সরকার, স্বাস্থ্যঅধিদফতরের উপপরিচালক, ডা. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ, ইউনিসেফের টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. রিয়াদ মাহমুদ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের এসবিসিসেকশন শেখ মাসুদুর রহমান।