Monday 06 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাচার অর্থ উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৪ | আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৫০

প্রতীকী ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং ১০ শিল্প গ্রুপের পাচার করা অর্থ উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে পাচার করা অর্থ উদ্ধার করতে পারবে- এমন স্বনামধন্য ৭টি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছে। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে আদায়কারী প্রতিষ্ঠান কমিশন হিসেবে কিছু অর্থ নেবে।

সোমবার (০৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এমন পরামর্শ দেন। এ সময় পাচার করা অর্থ উদ্ধারের জন্য নিয়োজিত গভর্নরের উপদেষ্টা ফারহানুল গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর নির্বাহী পরিচালক মফিজুর রহমান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, সভায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাশাপাশি আরও ১০টি শিল্প গোষ্ঠীর অর্থ পাচারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বিএফআইইউ। ১০টি গ্রুপ হলো-এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ। এর বাইরে আরও যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এসব অর্থে গন্তব্য কোথায় তা–ও জানানো হয়। এ জন্য অন্যান্য দেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তুলে ধরে দেশের ব্যাংকগুলোকে ওই পথ অনুসণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক নেতৃত্ব দেবে, অন্য ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এরপর বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, দেশ থেকে যেসব অর্থ পাচার হয়েছে, তা উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো নিজস্ব চিন্তায় যদি কোনো প্রতিষ্ঠান থাকে, যারা পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজ করে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে প্রাথমিকভাবে চুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হলে তারা ডকুমেন্ট নিয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারবে- কোন কোন সম্পদ উদ্ধার করা যাবে, কোনটি যাবে না।

সারাবাংলা/এসআর

আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরামর্শ পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর