কুষ্টিয়া: বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী ও কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান শহিদ আবরার ফাহাদ-এর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ । ২০১৯ সালের এই দিনে রাজধানীর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে সহপাঠীদের হাতে প্রাণ হারান আবরার ফাহাদ।
ছেলের মৃত্যুর ছয় বছর পরও আজও সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারেননি তার বাবা-মা। আবরারের ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, বিছানা আর পড়ার টেবিল সবকিছুই আগের মতো সাজানো আছে ঘরে। কিন্তু নেই আবরার। এই শূন্যতাই প্রতিদিন তাড়া করে মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকত উল্লাহকে।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, “ছেলে হত্যার ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারের রায় কার্যকর হয়নি। এখনো পলাতক কয়েকজন আসামি। আমরা দ্রুত রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি।”
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে হত্যা করে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। পরে এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার রায় হলেও পলাতক আসামিদের গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারসহ কুষ্টিয়াবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় কুষ্টিয়াবাসীকে। তারা দ্রুত পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।
আবরার ফাহাদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আবরার বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতেন। তার আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে আমরা সমাজে ন্যায়ের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
উপদেষ্টা সুলতান মারুফ তালহা বলেন, “রায় কার্যকর না হওয়া আবরারের আত্মত্যাগকে অসম্পূর্ণ রাখছে। আমরা ন্যায়বিচারের বাস্তবায়ন চাই।”