ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ধারাবাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ শুরু হয়। এ মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।
আজকের সংলাপে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি খুব কম। তবে বিশেষজ্ঞদের হলেও ‘কোয়ালিটি পার্টিসিপেন্ট’ থেকে ভোটের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা সাজাতে চান সিইসি।
সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেছেন, “মাঠে ময়দানে যারা কাজ করেছেন তাদের মুখ থেকে শুনবো। কিভাবে কিভাবে জালিয়াতি করা যায় সে অভিজ্ঞতাও আপনাদের অনেকের আছে। আপনারা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ইসিতে’ ইলেকশনকে ম্যানিপেুলেট করার জন্য কোথায় কোথায় হাত দেয়া দরকার আমাদের যাতে এ জিনিস না ঘটতে পারে সে পরামর্শ দেবেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইসির আট জন সাবেক কর্মকর্তা ও একজন পযবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সংখ্যায় কম হলেও তাদের কাছ থেকে গুণগত অভিজ্ঞতা চান সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, আপনারা এখানে কাজ করেছেন প্র্যাকটিক্যালি জড়িত ছিলেন, আপনারা আমাদের চেয়ে বেশি জানেন। কোথায় কোথায় গ্যাপস থাকে যেখানে ম্যানিপুলেট করার সুযোগ থাকে, গ্যাপগুলো যেন বন্ধ করতে পারি।
তিনি বলেন, “উপস্থিতি কম বলবে অনেকে। এটা কনসাসলি করা হয়েছে। শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের সাথে আলোচনা করে ফেলেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। আজ মাঠে ময়দানে ইলেকশন নিয়ে প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা শুনবো। কিভাবে সুন্দর উপহার দেবো তা নয়, কিভাবে জালিয়াতি করা যায় সে অভিজ্ঞতাও আছে। কোথায় ম্যানুপলেট হয়, কিভাবে তা বন্ধ করা যায় সেটা জানাবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনারা নির্বাচনের রিয়েল এক্সপার্ট, হাতে কলমে কাজ করেছেন। আজ আমরা গর্বিত, আপনাদের পাশে পেয়েছি। সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছি, আমাদের অনেক দায়িত্ব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা সেরে আমাদের হালকা করে দিয়েছে।
সিইসির দেওয়া বক্তব্যে আরও বলেন, প্র্যাকটিক্যাললি ইলেকশন ম্যানুপুলেট করা যায়, সে গ্যাপস কিভাবে পূরণ করা যায় তুলে ধরবেন। মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে প্রস্তুতিটা সাজাতে চাই। পুরো প্লানিংটা করতে পারবো। কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে বুঝেতে পারব। নম্বর ইজ নম্বর ইম্পর্টেন্ট, কোয়ালিটি ইম্পের্টেন্ট। উপস্থিতির সংখ্যা বিষয় নয়।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মধ্যে আছেন ইসির সাবেক কর্মকর্তা মো. জকরিয়া, পযবেক্ষক সংস্থা ফেমার প্রেসিডেন্ট মনিরা খান, ইসির সাবেক কর্মকর্তা খন্দকার মিজানুর রহমান, মো. নুরুজ্জামান তালুকদার, মিহির সারওয়ার মোর্শেদ, শাহ আলম, মীর মোহাম্মদ শাহজাহান, মিছবাহ উদ্দিন আহমদ, মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, মাহফুজা আক্তার।
উল্লেখ্য, ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ‘সংলাপ পর্ব’ শুরু করে ইসি। এ ধারাবাহিকতায় সোমবার গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই পর্বে এ আলোচনা চলে।
আজ সকালে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপ চলছে। বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জুলাই যোদ্ধা, রাজনৈতিকদলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি।