ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির দিকে ইঙ্গিত করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘সরকার যে তিন দলকে নিজেদের অংশ মনে করে এবং সঙ্গে করে নিউইর্য়ক সফরে নিয়ে গেছেন মনে হচ্ছে তাদের ইগো সমস্যাই এখন জাতীয় ঐক্যের অন্তরায়।’
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শেষ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় শান্তি ও ঐকমত্য। কিন্তু সীমান্তের ওপারের চাওয়া হলো বিভেদ, সংঘাত ও বিভক্তি। গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে ঐকমত্য হলেও গণভোট কি জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে নাকি একই দিনে দুটি নির্বাচন হবে? তা নিয়ে স্পষ্ট দ্বিধা-বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। ঐকমত্য কমিশন বা সরকারের উচিত হবে দু’পক্ষের কথা শুনে গণভোট কবে হবে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এবং কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৈঠকের বিরতিতে তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংকালে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই সনদ কিভাবে বাস্তবায়ন হবে? তা কি ‘সংবিধান আদেশ’,‘অধ্যাদেশ’ নাকি ‘জুলাই সনদ আদেশ’ নামে জারি হবে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, অর্থাৎ এখানেও পদ্ধতি বা শব্দ নিয়ে বিতর্ক!
তিনি বলেন, এ বিতর্ক দেখে মনে হচ্ছে পরোক্ষভাবে আমরা কেউ কেউ সীমান্তের ওপারের চাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, চুড়ান্তভাবে ঐকমত্য না হলে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের উচিত হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া।